বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান (Abdul Moyeen Khan) বলেছেন, “সংস্কার কোনো সুইচ নয়, যেটা টিপলেই রাতারাতি বদলে যাবে।” বরং ব্যক্তি পর্যায়ে চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন ছাড়া রাষ্ট্রীয় সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলেই মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা ও অর্থনৈতিক মুক্তি’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে ড. মঈন খান এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপি (BNP)-কে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে দমন করার চেষ্টা করছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ২৭০ দিন অতিক্রম করেও এখনো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তিনি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
তার ভাষায়, “নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি না করা একটি চরম ব্যর্থতা। অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারে, তাহলে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার।”
বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে আন্দোলনে আহত প্রত্যেক নাগরিককে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন মঈন খান। জুলাই মাসে সংঘটিত আন্দোলনে যারা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রতিবাদের অধিকার থাকা উচিত। সেই অধিকারে আঘাত আসলে, রাষ্ট্রই ব্যর্থ হয়।”
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের (Gonodhikar Parishad) সভাপতি নুরুল হক নুর (Nurul Haque Nur), বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও একাধিক সাবেক ছাত্রনেতা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তারা বলেন, বর্তমান প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া দেশকে দায়িত্বশীল এবং টেকসই গণতান্ত্রিক কাঠামোর দিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।