জাপানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক লাখ দক্ষ কর্মী পাঠানোর উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Government)। এই উদ্যোগকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqur Alam)।
বুধবার গণমাধ্যমকে তিনি জানান, সরকারের লক্ষ্য জাপানে ভাষাজ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক আয় বাড়ানো। “প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং বিশেষ করে জাপানি ভাষা শিক্ষা নিশ্চিত করে দক্ষ কর্মীদের দ্রুত পাঠাতে চায় সরকার। এটি প্রধান উপদেষ্টার অগ্রাধিকারের মধ্যে অন্যতম,” বলেন শফিকুল।
এছাড়া জাপান (Japan) সরকারের কাছ থেকে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা ও ২৫ কোটি ডলার রেল খাতে অতিরিক্ত অর্থ সহায়তার প্রত্যাশার কথাও জানান তিনি। এসব সহায়তা দেশের চলমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হবে বলে সরকারের বিশ্বাস।
শফিকুল আলম বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।” তথ্য বলছে, বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বাংলাদেশে সর্বাধিক বৈদেশিক সহায়তা দিয়েছে জাপান, যার পরিমাণ ১.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) (Economic Relations Division) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাপান থেকে সর্বোচ্চ ১.৯৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদান পেয়েছে। এটি দ্বিপাক্ষিক দাতাদের মধ্যে রেকর্ড সহায়তা হিসেবেই ধরা হচ্ছে।
সরকার মনে করছে, দেশের বিপুল তরুণ জনশক্তিকে আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষিত করে বৈদেশিক শ্রমবাজারে নিয়োজিত করলে বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি, বেকারত্ব হ্রাস এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এই প্রেক্ষাপটে, জাপানে দক্ষ কর্মী প্রেরণ, বাজেট সহায়তা এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ—এই তিনটি অগ্রাধিকার নিয়ে সরকার পরবর্তী উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
