যাদের পরামর্শে দেশে ফেরা পিছাল মির্জা ফখরুলের

চিকিৎসা শেষে আগামী ১ জুন বাংলাদেশে ফেরার কথা থাকলেও ফেরার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিনি আরও অন্তত এক সপ্তাহ থাইল্যান্ডে অবস্থান করবেন এবং চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন।

শুক্রবার (৩০ মে) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত রুটনিন আই হসপিটালের চিকিৎসকদের পরামর্শেই মহাসচিবের দেশে ফেরার সময় পেছানো হয়েছে। তবে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো জটিলতা নয়, বরং পর্যবেক্ষণ ও ফলোআপের প্রয়োজনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে, বিএনপির আরেক শীর্ষ নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান (Nazrul Islam Khan) বর্তমানে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন। তিনি ব্যাংককের বিখ্যাত বামরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পার্টি সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম খানের দেশে ফেরার সম্ভাব্য তারিখ ৪ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।

দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতার একযোগে দেশের বাইরে এবং শারীরিক অসুস্থতার খবরে কিছুটা উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সবাই নেতাদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করছেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দেখা গেছে নেতাকর্মীদের দোয়ার বার্তা ও শুভকামনার ঢল।

বিএনপির একাধিক নেতার মতে, ‘মির্জা ফখরুল এবং নজরুল ইসলাম উভয়েই দলের অভিজ্ঞ এবং সংকটময় মুহূর্তে পরীক্ষিত নেতা। তাদের অনুপস্থিতিতে আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি ঠিকই, তবে তাদের উপস্থিতিই দলের শক্তি।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *