নিজেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অযোগ্য মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (National Citizen Party) থেকে পদত্যাগ করেছেন হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সমন্বয়ক মুহাঈমেনুল ইসলাম সিফাত। শুক্রবার (৩০ মে) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একটি আবেগঘন পোস্টে তিনি নিজেই এই ঘোষণা দেন, যা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
স্ট্যাটাসে সিফাত লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে কোনো দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য নিজেকে যোগ্য মনে হচ্ছে না। আমি এমতাবস্থায় সকল ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছি। বিগত দিনে কাউকে কোনো আচরণে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী। আল্লাহ হাফেজ!’
এই সরল অথচ গভীর বার্তাটি ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এক ধরনের আত্মসমালোচনার প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেকেই মন্তব্যে সিফাতের এই পদক্ষেপকে ‘ব্যক্তিগত আত্মবিশ্লেষণের সাহসী প্রতিফলন’ বলছেন।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী আম্মান শেখ মন্তব্যে লিখেছেন, ‘বর্তমান সময়ে উত্তম সিদ্ধান্ত। কিন্তু আপনি যোগ্য ছিলেন না-এই কথাটি আমি মানি না। বর্তমান রাজনীতির পরিবেশকে একটি কুচক্রী মহল এমনভাবে সাজাচ্ছে, যাতে ভালো রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মাঠ থেকে সরে দাঁড়ান।’ অন্যদিকে কামাল হোসাইন চৌধুরী নামে আরেকজন সংক্ষেপে লেখেন, ‘বুঝার জন্য ধন্যবাদ ভাই।’
দল গঠনের শুরু থেকেই এনসিপি-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মুহাঈমেনুল ইসলাম সিফাত। স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় কর্মকাণ্ড ও সাংগঠনিক দায়িত্বে সক্রিয় ছিলেন তিনি। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় এবং জনসম্পৃক্ত উদ্যোগের মাধ্যমেও হাজীগঞ্জ এলাকায় তিনি ছিলেন পরিচিত মুখ।
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেও তিনি বর্তমানে শিক্ষকতা ও ব্যবসার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেও, তার এই সাহসী সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বার্তা হয়ে থাকবে বলেই মত বিশ্লেষকদের।