মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (Mostofa Sarwar Farooki), প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা, সম্প্রতি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাসে শহীদ ওয়াসিমের বাবার কথা উল্লেখ করে জাতির বেদনার অনুরণন তুলে ধরেছেন।
ফারুকী লিখেছেন, “চোখজোড়ার দিকে তাকান। শহীদ ওয়াসিমের বাবা ইনি। এইরকম একজন শহীদের বাবার চোখের সামনে দাঁড়ালেই পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবে খুনি আর তার সিমপ্যাথাইজার।” শহীদ পরিবারের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে তিনি বলেন, এই দৃষ্টি শুধু এক জনের নয়, বরং হাজারো শহীদ পরিবারের চোখে জমে থাকা অগ্নিসংবেদনার প্রতীক।
এই আবেগের উৎসস্থল হচ্ছে ‘জুলাই যাদুঘর’—একটি বহুমাত্রিক স্মারক জাদুঘর, যার কাজ চলছে পুরোদমে। ফারুকী জানান, “ভাবেন আরো সব হাজারো শহীদ আর তাদের পরিবারের কথা। তাদের চোখের এই আগুন জুলাই যাদুঘরে ভিজিটরের চোখে যেনো দেখা যায়, যেনো আমরা এই বেদনা আমাদের সকল ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করতে পারি।”
এটি শুধু ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ৩৬ দিনের নির্মমতা নয়, বরং গত ষোল বছরের দুঃসহ ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করবে এই যাদুঘর। ফারুকী আরও জানান, আজ থেকে শুরু হয়েছে ‘জুলাই যাদুঘর’র স্মারক সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম, যেখানে শহীদদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, চিঠিপত্র, গণহত্যার আলামত এবং অন্যান্য স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
‘জুলাই যাদুঘর’র মাধ্যমে শুধু ইতিহাস রক্ষা নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মনে সাহস, প্রতিবাদ এবং বিবেকের আগুন জ্বালিয়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ফারুকী। তার কথায়, এই যাদুঘর হবে একটি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অভিজ্ঞতা, যেখানে দর্শক শুধু দেখতে নয়, অনুভব করবে, শোক করবে, এবং প্রশ্ন করবে—কেন ঘটেছিল এমন বীভৎসতা।
এই যাদুঘর নির্মাণ ও সংরক্ষণের কাজ নিয়েই বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এই পোস্ট ইতোমধ্যে আবেগাপ্লুত প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে, যেখানে বহু মানুষ শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর এবং সত্যের সাক্ষ্য রাখার অঙ্গীকার করেছেন।