সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)-র বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক চার্জ দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। রোববার (১ জুন) ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার মিলিত গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলনের পরপরই, ১৪ আগস্ট তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করা হয় ট্রাইব্যুনালে। এরপর ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক তদন্ত কার্যক্রম। প্রায় সাত মাসের তদন্ত শেষে, গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনা সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত ছয়জন নিরস্ত্র বিক্ষোভকারী হত্যার ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা ছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চিফ প্রসিকিউটরের কাছে দাখিল করা প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি’ বা ঊর্ধ্বতনের দায়সহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি স্পষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।
যদিও ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের তারিখ নির্ধারিত ছিল ২৪ জুন, চিফ প্রসিকিউটর রবিবারই তা দাখিল করার কথা জানান এবং সে অনুযায়ী তা দাখিলও করা হয়।
এর আগে ২৫ মে, একই আন্দোলনে গুলি চালিয়ে ছয়জনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনাল সেটি আমলে নিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আগামী ৩ জুন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগটি শুধু একটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় দমননীতির গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবেও দেখছে ট্রাইব্যুনাল পর্যবেক্ষক মহল।