ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রায়হান ইসহাককে রাজধানীর পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে দেখতে পেয়ে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (Jagannath University) এবং কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রদল (Chhatra Dal) নেতারা। শনিবার (৩১ মে) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল গণমাধ্যমকে জানান, “ফ্যাসিবাদের দোসর ছাত্রলীগ এবং তাদের পুনর্বাসনকারীদের প্রতিহত করতেই ছাত্রদল সদা প্রস্তুত। যারা এসব দোসরকে বিভিন্নভাবে ফিরিয়ে আনতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার।”
পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে রায়হান ইসহাকের অবস্থান টের পেয়ে ছাত্রদল নেতারা গেন্ডারিয়া থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে হেফাজতে নেয়। গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহেদ খান জানান, “রায়হান ইসহাক নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি। স্থানীয় জনতা তাকে আটক করার পর আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং তাকে থানায় নিয়ে আসি।”
তিনি আরও বলেন, “তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রায়হান ইসহাক ২০১৬ সালে ঢামেক ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতি পদে দায়িত্ব পান। তবে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ছাত্র রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার পরিচয় সামনে এনেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছাত্রদলের তৎপরতা এবং এই ধরণের হস্তক্ষেপ অনেককেই নতুন করে ভাবাচ্ছে ছাত্ররাজনীতির বর্তমান অবস্থান নিয়ে।
ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে এবং রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। একপক্ষ এটিকে ‘ন্যায়বিচারের উদ্যোগ’ হিসেবে দেখলেও, অন্যপক্ষ এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে।