সরকার নির্ধারিত সময়সীমার (৩১ মে) মধ্যে সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৪৪ জন ‘স্বৈরাচারের দোসর’ আমলাকে অপসারণ না করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জুলাই ঐক্য (July Oikko)। দেশের ৮০টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আগামীকাল ৩ জুন ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
আজ সোমবার (২ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্ল্যাটফর্মটি জানায়, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Dhaka) রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে ছাত্র ও জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করবে তারা। ঘোষণায় আরও বলা হয়, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য—সেই ৪৪ জন আমলাকে অপসারণ এবং তাদের সচিবালয় থেকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা।
জুলাই ঐক্যের দাবি, গত ২০ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা ওই ৪৪ জন আমলার একটি তালিকা প্রকাশ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ৩১ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছিল কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। কিন্তু, দাবি অনুযায়ী কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তারা এই আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
সংগঠনটির মতে, “সচিবালয়ে অবস্থানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বর্তমানে সংস্কারমুখী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। এটি ’জুলাই স্পিরিট’-এর পরিপন্থী এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার প্রচেষ্টা।” প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র—যা তারা ‘সিভিল ক্যু’-এর রূপরেখা হিসেবে দেখছে। সংগঠনটি এটিকে ভারতীয় (India) এজেন্ডা বলেও উল্লেখ করেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি আক্রমণ করে বলা হয়, “দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ভারতীয় প্রক্সি শেখ হাসিনার সহকারীদের সচিবালয় থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবিতে সকলে যেন আমাদের মার্চ টু সচিবালয় কর্মসূচিতে অংশ নেয়।”
এদিকে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের একটি অংশ এই দাবিকে উস্কানিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।