নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে দলটির পক্ষ থেকে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা—দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ও দলীয় নিবন্ধন ফিরে পেতে তারা এখন অনেকটাই আশাবাদী।
সোমবার (২ জুন) বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানান, ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, তা আদালত ইতোমধ্যেই বাতিল করেছে। ফলে নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আর কোনো আইনগত বাধা নেই বলেই দাবি করেন তিনি।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “এখন যা বাকি আছে, তা শুধু আনুষ্ঠানিকতা। কমিশন ইতিবাচক রেসপন্স দিয়েছে। আমরা আমাদের পূর্বের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।”
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমরা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুত আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করছি।”
জামায়াতে ইসলামী এই পদক্ষেপকে ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ফল’ হিসেবেও উল্লেখ করে। দলটির ভাষ্যমতে, ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকার অন্যায়ভাবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছিল। তবে আদালতের সাম্প্রতিক রায়ে সেই অন্যায় সংশোধিত হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, দলটির পূর্বের কার্যক্রম ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নেই।
তিনি দাবি করেন, আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে যে, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার পথে আর কোনো আইনগত জটিলতা নেই। এখন কমিশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করলেই দলের স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফেরার পথ সুগম হবে।