আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি। এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্য (Nagarik Oikya) -র সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (Mahmudur Rahman Manna), তবে সঙ্গে রেখেছেন কিছু প্রশ্ন ও সংশয়ও।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘একটা বড় টেনশন দূর হলো বলে আমি মনে করি। এটা হওয়া উচিত ছিল। কারণ, ডিসেম্বর নিয়ে সবার মধ্যে একটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। সেইটাকে একটা মাঝামাঝি জায়গায় আনা গেছে।’
তিনি জানান, দীর্ঘ সময় ধরে যে অনিশ্চয়তা চলছিল, তা অনেকটাই কাটলো এই ঘোষণার মাধ্যমে। তবে এই ঘোষণা নিয়েও তার কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এইখানে মানে, একটা এভারেজ করা হলো নাকি, আমার মাঝে মাঝে এটা মনে হচ্ছে। এটা যদি আমি এপ্রিলের প্রথমার্ধেই করতে পারি, তাহলে মার্চের বা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে করতে অসুবিধা কী?’
রোজা ও সংস্কার সংলাপ নিয়েও সন্দেহ
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে মার্চ মাসে রমজানের মধ্যেই রাজনৈতিক সংস্কার ও সংলাপ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তবে এ বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেন মান্না। তার ভাষায়, ‘এই প্রক্রিয়া সফল হবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।’
তবুও সামগ্রিকভাবে আশাবাদী
তবে সামগ্রিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘আমি মোটামুটি এই বক্তৃতা শোনার আগে, যদিও আমি আগেই শুনেছি—এই সংবাদ জানার আগে যতখানি টেনশনে ছিলাম, ওইটা নেই। আমি মনে করি, নির্বাচন হচ্ছে এবং নির্বাচনপ্রক্রিয়া নসাৎ করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে না।’
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচন নিয়ে দেশে যে অনিশ্চয়তা চলছিল, আজকের ঘোষণার মাধ্যমে তার একটি বড় অংশ নিরসিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরাও। তবে এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাস্তবতা এবং সংস্কার প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর হবে, তা এখন দেখার বিষয়।