বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, লন্ডনে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman) ও সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus)।
এই সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক ঘিরে উঠে এসেছে আশাব্যঞ্জক বার্তা—আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে গৃহীত ঐকমত্য নাকি দেশের অনিশ্চয়তাকে সরিয়ে এনে এনেছে স্বস্তি ও আশার নতুন দিগন্ত।
আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান লন্ডনে সফররত প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড: মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। অত্যন্ত সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশে তাঁদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এই বৈঠকে আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, নতুন আশার আলো।
পুরো বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে, এপ্রিলের মতো অনাকাঙ্খিত সময় থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য একটি যৌক্তিক সময়সীমা নির্ধারণের জন্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি জনগণের প্রত্যাশা উপলব্ধি করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
আর ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ এই নীতিকে হৃদয়ে ধারণ করে জনাব তারেক রহমান বরাবরের মতোই প্রমাণ করেছেন, তাঁর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা। সময়ের প্রয়োজনে দায়িত্বশীল ছাড় দিয়ে দেখিয়েছেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথযাত্রায় তিনি শুধু রাজপথের সর্বোচ্চ শক্তির নেতা নন, আলোচনার টেবিলে এবং ইতিবাচক ডায়ালগেও সমানভাবে দক্ষ ও দূরদর্শী। প্রধান উপদেষ্টাকে No One Is Too Small to Make a Difference এবং Nature Matters: Vital Poems from the Global Majority শীর্ষক দুটি বই ও একটি কলম উপহার দিয়ে তিনি রাজনৈতিক সৌজন্য ও জ্ঞাননির্ভর রাষ্ট্রচিন্তার নতুন ধারার সূচনা করেছেন।
আমরা বিশ্বাস করি, বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, জয় হবে বাংলাদেশের, জয় হবে জনগণের ইনশাআল্লাহ। এখন প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার নিজ অবস্থান অটুট রেখে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করবে।