আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন আয়োজনের এ তারিখ এখন আর শুধু জল্পনা নয়—তারেক রহমান (Tarique Rahman) এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)-এর লন্ডন বৈঠকে তা নিয়ে হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
সূত্র জানায়, রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যাতে সম্মতি জানিয়েছেন ড. ইউনূস। ড. ইউনূস জানিয়েছেন, “সব প্রস্তুতি শেষ হলে এমনকি রমজানের আগের সপ্তাহেও ভোট হতে পারে।”
লন্ডনে এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) জানান, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও সম্মতি মিলেছে।
ভোটের তারিখ নিয়ে আলোচনা শুরু
বৈঠকের পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান (Khalilur Rahman) বলেন, নির্বাচন কমিশন শিগগিরই চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করবে। এরই মধ্যে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রোজা শুরু হওয়ার আগে নির্বাচন আয়োজনে ১২ই ফেব্রুয়ারি সবচেয়ে সম্ভাব্য তারিখ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। সে অনুযায়ী, ভোট নিতে হলে অন্তত এক সপ্তাহ আগেই তা সম্পন্ন করতে হবে। কারণ, রমজান শুরু হলে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ধীরগতি আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
১২ই ফেব্রুয়ারির যুক্তি
বৃহস্পতিবার, ১২ই ফেব্রুয়ারিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে বিবেচনায় আসছে। অতীতেও একাধিক জাতীয় নির্বাচন বৃহস্পতিবারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দিন ভোট হলে রমজানের আগে নির্বাচন কমিশনের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরপরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় ভোটগ্রহণের সুযোগ থাকছে না।
এছাড়া নির্বাচন আরও পিছিয়ে নিলে রমজান শুরুর আগে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম ও ফল প্রকাশ নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই ১২ই ফেব্রুয়ারি বা তার আগের কোনো দিনই হতে পারে ভোটের চূড়ান্ত দিন।
নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক তারিখ এখনও ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক মহলে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরছে—“রমজানের আগে ভোট হলে তা কতটা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে?” সব কিছুই এখন নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার ওপর।
