বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক নতুন বাঁকবদলের ইঙ্গিত দিয়েছেন জোনায়েদ সাকি (Zonayed Saki)। আজ ১৭ জুন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ফেসবুক পোস্টে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী সাকি বলেন, এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি “ঐতিহাসিক দিন” হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
সাকি বলেন, “আজকের দিনটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। কারণ সংবিধানের ৭০ ধারা সংশোধনের প্রশ্নে একটি মৌলিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে।”
সংবিধানের ৭০ ধারা নিয়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। এই ধারা অনুসারে, কোনো সংসদ সদস্য দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোট দিলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেকদিন ধরেই দাবি করে আসছেন, এই ধারা সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতপ্রকাশের পথে বড় বাধা।
জোনায়েদ সাকি বলেন, “সংসদ সদস্যদের স্বাধীন গণতান্ত্রিক মতামত প্রদানের অধিকার নিশ্চিত করার যে প্রক্রিয়া, তার একটি ঐক্যমত্য আজ গঠিত হয়েছে। এটি কেবল একটি দিন নয়, বরং ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভিত্তি স্থাপনের পথে এক বড় পদক্ষেপ।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই ঐকমত্য কেবল একটি ধারার সংশোধন নয়—এটি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি সম্ভাব্য পরিবর্তনের দিকেও ইঙ্গিত দেয়। দলনিরপেক্ষ আলোচনা, রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র এবং সংসদীয় ব্যবস্থার জবাবদিহিতা—সবই এই সংশোধনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি না এলেও, বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে ইতোমধ্যেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।