আল জাজিরার অনুসন্ধানী সংবাদিক, জুলকারনাইন সায়েরকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি লন্ডন সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ড.ইউনূসের সাথে, এ নিয়ে কথা বলেছেন অনলাইন একটিভিষ্ট ফাহাম আব্দুস সালাম, তিনি ফেসবুক পোষ্টে লিখেছেন,
জুলকারনাইন সায়েরের সাথে কথা হচ্ছিলো। ইউনুস সাহেবের লন্ডন ট্রিপে ও দেখা করতে চেয়েছিলো। বাংলাদেশ সরকারে যারা আছে তারা দেখা করতে দেয় নি। দেখা বলতে বুঝাচ্ছি ইউনুস সাহেবের অনুষ্ঠানে সাংবাদিক হিসাবে দাওয়াত দেয়া হয় নাই। ওখানে অনেকেই দাওয়াত পেয়েছেন যারা আমার বিচারে ঠিক সাংবাদিক না। কিন্তু সায়েরকে কোনো এক কারণে ডাকা হয় নাই।
সে খুবই অপমানিত হয়েছে। বলছিলো আমাকে। আমার কাছেও খারাপ লেগেছে। হাসিনার ডান হাত ব্যবসায়ী, যে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে শপথ নিয়েছে ৫ই অগাস্টের পর – সে পর্যন্ত ইউনুস সাহেবের জাপান সফরে জায়গা পায়, কিন্তু সায়ের ডাক পায় না সাংবাদিক হিসাবে।
হাসিনার পালানোর পেছনে অনেকেই কাজ করেছিলেন। আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোকনা কেন – আপনি কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবেন না যে পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, জিয়া হাসান, কনক সারোয়ার এদের সবার ত্যাগ আছে। বাংলাদেশে এই মানুষগুলোই আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছিলো। বিশেষ করে তাসনিম খলিল ও জুলকারনাইন সায়েরের কথা আমি বলি কারণ এই দুইজনের কাজ বহির্বিশ্বে জনমত গঠনে বিশেষভাবে কাজে এসেছিলো। এর প্রমাণ আমি নিজেই দেখেছি।
সায়েরকে এই সরকার ইউনুস সাহেবের অনুষ্ঠানে ডাকতে পারে না – এটা শুনে আসলেই খারাপ লাগলো। আমরা কি ঐ লেভেলে নেমে যাবো যে একটা বিহারী আপনাদেরকে বইঙ্গা বলে ডাকবে আর আপনারা মাথা নিচু করে মেনে নেবেন?
হৃদয়টা একটু বড় করেন ভাই।
আর ফাহাম আব্দুস সালামের সেই পোষ্ট শেয়ার করে জুলকারনাইন সায়ের প্রকাশ করেছেন, তার এই দেখা করতে না দেওয়াকে কিভাবে প্রেস সচিব শফিকুর রহমান বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে ব্যখ্যা করেছেন, অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত, জুলকারনাইন সায়েরের সেই পোষ্ট হুবহু শেয়ার করা হলো
এ বিষয়ে দেশের বর্তমান এমিরেটাস প্রেস সচিব (যিনি বহুমুখের অধিকারী তাই কোন দিক দিয়ে কথা বলেন সেটা জানার কোন সঠিক উপায় নেই) একেকজনকে একেক তথ্য প্রদান করেন।
তিনি আমাকে বলেন “সব দোষ হাই কমিশনের, আপনি তাদের বিষয়ে লিখেন, তারা এসব করেছেন।
তিনি একজন উপদেষ্টাকে বলেন “জুলকারনাইনকে বিভিন্ন সময়ে সরকারের ইন্টারভিউ আয়োজন করে দিয়েছি, তারপরেও আপনাদের নিয়ে সমালোচনা করে, নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নিয়ে ফান করে”
আমাদের বন্ধুমহলে বলেছেন “আমি এসব জানিনা, মনে হয় এসএসএফ থেকে কোন নির্দেশ ছিলো, আর তাছাড়া উনি সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে”
অবশ্য ঢাকা ত্যাগ করার আগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় তিনি বলেছেন “এই ট্রিপে সায়েরের সাথে কেউ যোগাযোগ করবেন না, তিনি নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়ে ট্রোল করেন, এছাড়া সায়ের হলো প্রো-মিলিটারি এবং বিএনপি ঘেঁষা”
এমিরেটাস প্রেস সচিব শফিক সাহেব, সরকারের পা-চাটা আর তোষামোদ করা তো আমার কাজ না! আমি সাংবাদিক মানুষ, আমার কাজটা আমি করবোই, কাউকে তৈল মর্দন আমার কাজ না। আপনি আপনারটা চালিয়ে যান, আর বিভিন্ন দিবা স্বপ্ন দেখতে থাকেন 😂