একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে হিসাব-নিকাশ ও অবস্থান নিশ্চিতের তোড়জোড়। এই প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ২৯৬টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Bangladesh Jamaat-e-Islami)। দলীয়ভাবে তালিকা প্রস্তুতের পাশাপাশি ধাপে ধাপে সেই প্রার্থীদের নাম অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করছে তারা।
এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান (Dr. Shafiqur Rahman)। জানা গেছে, তিনি ঢাকার ঢাকা-১৫ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। শুধু তাই নয়, তার জন্মস্থান মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনেও তাকে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ঢাকা-১৫ আসনে এরইমধ্যে সক্রিয় প্রচারণায় নেমেছেন জামায়াত আমির। গত ২৫ এপ্রিল তাকে রিকশায় করে এলাকা ঘুরে গণসংযোগে অংশ নিতে দেখা যায়। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও তিনি এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
তবে এবারের নির্বাচনে শুধু ঢাকা-১৫ নয়, কুলাউড়ার মাটিতেও তার উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে। যদিও মৌলভীবাজার জেলা জামায়াত ইতোমধ্যে জেলা আমির ইঞ্জিনিয়ার সাহেদ আলীকে এই আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে, তবুও শফিকুর রহমানের বাড়ি হওয়ায় কুলাউড়া এলাকায় দলীয় মনোযোগ ফেরত আসছে তার দিকে।
গত কয়েক মাসে হিন্দু সম্প্রদায়, চা-শ্রমিকসহ নানা পেশা ও সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন তিনি। কুলাউড়া উপজেলায় একাধিক পথসভা ও সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণও করেছেন। সব মিলিয়ে কুলাউড়ার রাজনীতিতে শফিকুর রহমানের সরব উপস্থিতি নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে।
জামায়াতের মৌলভীবাজার জেলা শাখার সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যক্ষ ইয়ামির আলী বলেন, ‘কে কোথা থেকে প্রার্থী হবেন, তা নির্ধারণ করবে দলের নির্বাচনি মনিটরিং বোর্ড। তবে যেহেতু কুলাউড়া জামায়াত আমিরের জন্মস্থান, এলাকার মানুষের একটাই দাবি—তিনি যেন এখান থেকেই নির্বাচনে অংশ নেন।’
দলীয় মহলের মতে, যদি শেষ মুহূর্তে কৌশলগত পরিবর্তন আসে, তাহলে কুলাউড়া থেকে ডা. শফিকুর রহমানের প্রার্থিতা ঘোষণার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।