ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার মাঝে হঠাৎ করেই ঘোষণা আসে যুদ্ধবিরতির। এই পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ‘যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব’ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমানের পাইলটদের এবং সংশ্লিষ্ট সামরিক বাহিনীর সদস্যদের।
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প লিখেছেন, “আমাদের বি-২ বোমারু বিমানের পাইলটদের এবং সেই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত সকলের প্রতিভা ও সাহস ছাড়া আজকের এই চুক্তি হতো না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আমাদের নিখুঁত ‘আঘাত’ সন্ধ্যার শেষ দিকে একধরনের কৌশলী এবং বিদ্রূপাত্মক প্রভাব ফেলে, যা সব পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসাতে বাধ্য করে এবং চুক্তি সম্পন্ন হয়।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়, যখন ইরান একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে চলেছে ইসরায়েলের দিকে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে ট্রাম্পের পোস্টে এই সর্বশেষ হামলা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য ছিল না।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কথা থাকলেও, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ইরান জানিয়েছে, তারা এমন কোনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পায়নি এবং তাদের কাছে এ ধরনের প্রস্তাবের প্রয়োজনও নেই।
তেহরানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সিএনএন (CNN)-কে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এই কথাবার্তা একেবারেই প্রতারণামূলক। এটা ইরানের বিরুদ্ধে হামলার অজুহাত তৈরির অংশমাত্র।”
তিনি আরও জানান, ইরান এখন প্রতিশোধমূলক হামলা আরও তীব্র করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার ভাষায়, “আমরা কারোর কথায় কান দিচ্ছি না। তবে ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ করে, তাহলে ইরানও শান্ত থাকতে পারে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা কমার বদলে নতুন করে ঘনীভূত হচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের প্রশ্নে একপক্ষ একরকম বলছে, আরেকপক্ষ তা পুরোপুরি অস্বীকার করছে। তার মধ্যেই ট্রাম্পের ‘বোমারু কৃতিত্ব’ ঘিরে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন বিতর্ক।