কারাগারে থেকে শুরু হওয়া বিবাহজীবনের পাঁচ দিনের মাথায় নতুন চমক পেলেন বিতর্কিত সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল (Mainul Ahsan Nobel)। আজ মঙ্গলবার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি জানতে পারেন, বাবা হতে যাচ্ছেন তিনি। এই খবরটা আসে তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়া (Israt Jahan Priya)-র মুখ থেকেই—যিনি কিছুদিন আগেও ছিলেন তার বিরুদ্ধে মামলা করা বাদী।
এদিন আদালতে প্রবেশের সময় নোবেলের মুখে ছিল হাসি, আচরণে ছিল আত্মবিশ্বাস। আর কিছুক্ষণ পরই প্রবেশ করেন প্রিয়া, যিনি বিচারকের অনুমতিতে কারাগারে নোবেলের সঙ্গে বিয়ে করেন ১৯ জুন। আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে নোবেলের পাশে দাঁড়িয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ভঙ্গিতে কথা বলেন প্রিয়া।
তাদের আইনজীবীরা জানান, নবদম্পতির সংসারে আসছে নতুন অতিথি—প্রিয়া অন্তঃসত্ত্বা। ফলে শিগগিরই বাবা-মা হতে চলেছেন তারা। সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রিয়া বলেন, “সবাই আমাদের নতুন জীবনের জন্য দোয়া করবেন।”
তবে এই খুশির খবরের পেছনে ছিল জটিল এক মামলা। ডেমরা থানা (Demra Police Station)-তে করা নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় প্রায় এক মাস কারাগারে ছিলেন নোবেল। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাত মাস ধরে এক নারীকে বাসায় আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন তিনি। ওই মামলার শুনানিতে গত ১৮ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার (Nazmin Akhter) জামিনের শর্ত হিসেবে বাদীকে বিয়ে করার নির্দেশ দেন নোবেলকে।
পরদিনই ১৯ জুন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার (Keraniganj Central Jail)-এ কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন উভয় পরিবারের সদস্যরা—নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, মো. খলিলুর রহমান ও মো. সাদেক উল্লাহ ভূঁইয়া। জানা গেছে, বিয়েতে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
আজ আদালত এক হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে নোবেলকে। জামিনের আদেশ ঘোষণার সময়ও প্রিয়া তার পাশে ছিলেন। আদালতের লিফটে ওঠার সময় প্রিয়াকে হাত ধরে সঙ্গেই রাখেন গায়ক। তবে নোবেল নিজে এখনো সংবাদমাধ্যমের সামনে এই বিষয়ে মুখ খোলেননি।
বিতর্ক, মামলা আর গোপন বিয়ের পর এবার নতুন এক অধ্যায়ের সামনে এই দম্পতি—একদিকে আইনি প্রক্রিয়া, অন্যদিকে পরিবার গঠনের শুরু। নোবেল-প্রিয়ার এই নাটকীয় সম্পর্কের বাঁকে বাঁকে জমে আছে বিস্ময়, বিতর্ক ও এখন সামান্য এক শান্তির ছায়া।