আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা রাজনৈতিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন মীর শাহে আলম (Mir Shahe Alam)। তিনি বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া, দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলটিকে নিষিদ্ধ করার পেছনে সুষ্ঠু রাজনৈতিক যুক্তি অনুপস্থিত।
গত ২১ জুন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলায় লীলা কীর্তন ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি (BNP) নেতার কণ্ঠে স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিষয়টি। তিনি বলেন, ‘জামায়াত ও একটি নতুন রাজনৈতিক দল মিলে মাত্র তিনদিনের এক ভুয়া আন্দোলন করে আওয়ামী লীগের মতো একটি দলকে নিষিদ্ধ করেছে। আমি একজন বিএনপির কর্মী হিসেবে বলছি, এটি রাজনৈতিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।’
মীর শাহে আলম জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আমাদের আন্দোলন ছিল জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলন। যদি শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতেন—বাংলাদেশে কোনো আন্দোলনের প্রয়োজন হতো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনের পরে আমরা এটা বলেছি—আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মী অন্যায় করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা আমরা চাই না। এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হতে পারে।’
বিএনপি নেতার এই বক্তব্য আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিচ্ছে। সমালোচকদের ভাষ্য, দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সচল রাখার জন্য এমন নিষেধাজ্ঞা সিদ্ধান্ত যথেষ্ট বিপজ্জনক হতে পারে।
