মিটফোর্ডে খুনের ঘটনায় যুবদলের দুই নেতা আজীবন বহিষ্কার, দ্রুততম সময়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান

মিটফোর্ড হাসপাতাল (Sir Salimullah Medical College Hospital)-এর প্রধান ফটকের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল (Jatiyatabadi Jubo Dal)। শুক্রবার (১১ জুলাই) দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথ বিবৃতিতে এ বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন—যুবদলের সাবেক জলবায়ু বিষয়ক সহকারী সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইউনিটের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি।

যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন এক বিবৃতিতে জানান, প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সকল পদ থেকে তাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।

তারা বলেন, রাজধানীর ঐতিহাসিক মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল গেটে প্রকাশ্যে পাথর মেরে ভাঙারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহাগ (৩৯) কে হত্যার ঘটনায় সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবার ইতোমধ্যে অভিযুক্ত দুই যুবদল নেতাসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দল বহিষ্কৃতদের কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দায় নিচ্ছে না। বরং স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই দুই নেতার সঙ্গে দলের কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক থাকবে না এবং সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা হয়েছে।

আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে যুবদল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন এ ঘটনায় কোনো প্রকার নমনীয়তা না দেখায় এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

ঘটনার ভয়াবহতা এবং দলীয় অবস্থান থেকে এটিকে একটি বার্তা হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা—যেখানে কোনো অপরাধীকে রেহাই দেওয়া হবে না, সে যতই প্রভাবশালী বা দলের ঘনিষ্ঠ হোক না কেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *