মিটফোর্ড হাসপাতালের (Sir Salimullah Medical College Hospital) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপির ওপর দায় চাপানোকে ‘অপরাজনীতি’ এবং ‘নোংরা চর্চা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ (Salahuddin Ahmed)। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা নিয়ে দলকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা হচ্ছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, “মিটফোর্ডের ঘটনায় আমরা অত্যন্ত সিরিয়াস পদক্ষেপ নিয়েছি। অভিযুক্তদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারপরও বিএনপির নাম জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে—এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নোংরা রাজনীতি। বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠন কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয় না, কখনোই দেবে না। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান একেবারে ‘জিরো টলারেন্স’।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় যেন বিচার থেকে কেউ রেহাই না পায়।”
ঘটনার পরপরই জাতীয়তাবাদী যুবদল (Jatiyatabadi Jubo Dal) কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়। সংগঠনের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সোহাগ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে থাকা যুবদলের সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু এবং ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকিকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দল কোনোভাবেই বহিষ্কৃতদের অপরাধের দায় নেবে না। পাশাপাশি সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুবদল স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, “আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যেন এই ঘটনায় কোনো শৈথিল্য না দেখায়। অপরাধী যারই হোক, কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এই অবস্থানের মাধ্যমে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো আইন, শৃঙ্খলা ও ন্যায়ের প্রশ্নে নিজেদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চায় বলেও দলটির নেতাদের মন্তব্যে উঠে এসেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনার পর দলীয় সিদ্ধান্ত ও বিবৃতিতে বিএনপি একটি কড়া বার্তা দিয়েছে—অপরাধীদের কোনো দলীয় ছত্রচ্ছায়া দেওয়া হবে না, বরং শাস্তিই হবে একমাত্র পথ।