হার্টের বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত আমীরে জামায়াতের, দেশের চিকিৎসায় আস্থা রেখে অপারেশন আগামী সপ্তাহে

গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় মঞ্চে দুইবার পড়ে গিয়েছিলেন দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমান (Dr. Shafiqur Rahman)। ঘটনার পর তাকে প্রাথমিকভাবে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং ওই রাতেই তিনি বাসায় ফেরেন। তবে এরপর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডা. শফিকুর রহমানের করোনারি এনজিওগ্রাফি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনার পর তার হার্টে বাইপাস সার্জারি প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই সার্জারি আগামী সপ্তাহেই হওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আগামীকাল (৩১ জুলাই) ব্রিফ করবেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (Professor Mia Golam Porwar)।

ডা. শফিকুর রহমানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের একজন সদস্য জানিয়েছেন, “এই অপারেশন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে করা হবে। যদিও চিকিৎসকরা সিঙ্গাপুর বা বিদেশে অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছিলেন, তিনি তা জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।” তিনি দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থা রেখে দেশেই চিকিৎসা নিতে চান বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র।

ঘটনার দিন, অর্থাৎ ১৯ জুলাই বিকাল ৫টা ২২ মিনিটে প্রথম দফায় মঞ্চে পড়ে যান জামায়াত আমীর। এরপর নিজে উঠে দাঁড়িয়ে বক্তব্য চালিয়ে যান। কিন্তু কিছু সময় পর আবার পড়ে গিয়ে বসে বসেই বক্তব্য দেন তিনি। যদিও চিকিৎসকরা তাকে বক্তব্য না দিতে অনুরোধ করেছিলেন, তিনি তা উপেক্ষা করেন। এ সময় সমাবেশস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, দলীয় নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত, বসা অবস্থায় প্রায় ১০ মিনিট বক্তব্য দেন ডা. শফিকুর রহমান।

ঘটনার এই প্রেক্ষাপটে তার বাইপাস সার্জারি নিয়ে দলে এবং অনুসারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে তার বিদেশে না গিয়ে দেশের মাটিতেই চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *