ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস (Peter Haas) বর্তমানে অবস্থান করছেন কক্সবাজারে। আর সেই সময়েই সেখানে পৌঁছেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র শীর্ষ চার নেতা। উদ্দেশ্য—পিটার হাসের সঙ্গে একটি বৈঠক, তবে বৈঠকের বিষয়বস্তু এখনো অজানা। ঘটনাটি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে জল্পনা, বিশেষ করে আজকের ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপটে।
সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজারের সি পার্ল হোটেলে পিটার হাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এনসিপির নেতারা। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সারজিস আলম, নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, তাসনিম জারা, খালেদ সাইফুল্লাহ এবং হাসনাত আবদুল্লাহ।
এদিকে, আজ ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিকেল ৫টায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন এনসিপির প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। সরকারি আমন্ত্রণে আয়োজিত এই আয়োজনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরও।
কিন্তু যেখানে অনুষ্ঠান ঘিরে রাজধানীতে জমজমাট প্রস্তুতি, সেখানে এনসিপির শীর্ষ নেতারা কেন গেছেন কক্সবাজারে? এবং কেনই বা পিটার হাসের সঙ্গে এই বৈঠক এখন? এনসিপি পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি। ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, এটি নিছক কূটনৈতিক সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে কৌশলগত বার্তা কিংবা সম্ভাব্য আলোচনার ইঙ্গিত।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—আজকের ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে কি থাকবেন এনসিপির মূল নেতারা? দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব যখন কক্সবাজারে, তখন রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তাদের অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনার ঝড় বইছে রাজনৈতিক মহলে।