ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন, জামায়াতের সঙ্গে জোটের সুযোগ নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ (Salahuddin Ahmed)। তার ভাষ্য, রমজান শুরু হওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই। যারা অজুহাত দিয়ে নির্বাচন বয়কট করবে, তারা রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে ‘মাইনাস’ হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জোটের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী জোট গঠনের কোনো সুযোগ নেই। তবে যুগপৎ আন্দোলনে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে জোট হতে পারে, এমনকি আগামীর সরকারেও তাদের অংশগ্রহণ থাকতে পারে। কয়েকটি ইসলামী ঘরানার দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তবে সেটি এখনো চূড়ান্ত নয়।

তিনি বলেন, বিএনপি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যাশা করছে। এবারের নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) বা গণপরিষদের দাবিকে মাঠ গরম রাখার রাজনৈতিক কৌশল বলে অভিহিত করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, অঙ্গীকারনামার কিছু বিষয় বিএনপির কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে। বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার সময় আলোচনা করা হবে। তার মতে, সংবিধানের ওপরে স্থান পায় এমন কোনো বিষয় বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো শেষ পর্যন্ত একটি অভিন্ন অবস্থানে পৌঁছাবে বলে আশা করেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সবার ঐকমত্যে গঠিত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হওয়ার পরে পরবর্তী নির্বাচনে সেটি কার্যকর হতে পারে। তবে ঘোষিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন হবে—এ নিয়ে ভিন্ন কিছু ভাবার অবকাশ নেই।

জুলাই সনদের বাস্তবায়ন না হলে কিছু দল নির্বাচনে অংশ নেবে না—এমন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কোনো দল অংশ না নিলে সেটি তাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা। তবে যারা বাহানা দিয়ে বয়কট করবে, তারা ভবিষ্যৎ রাজনীতি থেকে নিজেরাই মাইনাস হয়ে যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *