স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হওয়ার প্রলোভনে বিশাল অঙ্কের চেক দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফা (Prof. Dr. Sheikh Golam Mostafa)। তিনি জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (NICRH) সাবেক পরিচালক। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদক (ACC) তার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিশেষ একটি দল মাঠে নামে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম। তিনি নিশ্চিত করেছেন, ডা. মোস্তফার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অসাধু প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আকতারুল ইসলাম আরও জানান, অভিযানের কাজ শেষ হওয়ার পর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডা. গোলাম মোস্তফা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হওয়ার আশায় একটি সমন্বয়ক গ্রুপকে ১০ লাখ টাকা নগদ এবং ২০০ কোটি টাকার চারটি চেক হস্তান্তর করেন। গ্রুপটির সদস্যরা নিজেদের যমুনা থেকে আগত হিসেবে পরিচয় দেয়। সেই সময় আরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন। তিনি নিজেকে সমন্বয়ক আরেফিনের ভাই বলে দাবি করেন এবং সরাসরি ডা. মোস্তফার চেম্বার থেকেই চেক সংগ্রহ করেন। যদিও আরেফিন সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না, তিনি ফোনে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
এদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনাটি পুরোপুরি সাজানো। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ওই গ্রুপটি তাকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা করার প্রলোভন দেখায় এবং জোর করে চেকগুলোতে স্বাক্ষর নেয়। তিনি দাবি করেন, এগুলো মূলত সিকিউরিটি চেক ছিল। এমনকি চেক নেওয়ার সময় তাদের দুজনের হাতে অস্ত্র থাকার কথাও ইঙ্গিত করেন তিনি।
