আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এক ‘মহোৎসব’—যদি প্রস্তাবিত সংস্কার বাস্তবায়ন করা যায়, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন মহোৎসবে পরিণত হবে, যদি আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কারের বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “স্বৈরাচার আসার পথ রুদ্ধ করতে হলে সংস্কার অপরিহার্য। এই সংস্কার সবাইকে একসঙ্গে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে করতে হবে। এখানে দ্বিমতের জায়গা নেই। তাহলেই এই নির্বাচন সার্থক হবে।”
জাতীয় ঐকমত্যের গুরুত্ব তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, “সমঝোতার যে পথ শুরু হয়েছে, তা থেকে সরে আসার সুযোগ আর নেই। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে সেই সমঝোতার মাধ্যমেই এগোতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় হয়তো কেউ কেউ ব্যথিত হবেন, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তা শান্তি বয়ে আনবে।”
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “এই সুযোগ আর আসবে না। এবারেই সেই সুযোগ। তাই যদি এবার পরিবর্তন না আসে, তবে আর কখনো এই সুযোগ নাও আসতে পারে।”
এদিকে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল (Asif Nazrul) জানিয়েছেন, “প্রস্তাবিত সংস্কারের মধ্যে আশু বাস্তবায়নযোগ্য যে বিষয়গুলো রয়েছে, তার অর্ধেকের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, ডিসেম্বরের আগেই ৭৫ শতাংশ সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।”
তিনি আরও জানান, “কিছু সংস্কার রয়েছে যেগুলো সংবিধান সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত। এসব ক্ষেত্রে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন হবে।”