এনসিপি-গণঅধিকার পরিষদ একীভূত : পদপদবী নিয়ে চিন্তিত সার্জিস আলম

চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল এনসিপি (NCP)। তবে মাত্র সাত মাসের মাথায় একক পথে না হেঁটে নতুন কৌশল নিয়েছে দলটির শীর্ষ নেতারা। এবার তারা এগোচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদ (Gono Adhikar Parishad)-এর সঙ্গে মিলে একীভূত হয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে। ইতোমধ্যেই দুই দলের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান ইত্তেফাক ডিজিটালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দেশের মানুষ এখন রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব চায়। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান—এই ধারাবাহিকতায় তরুণদের নেতৃত্বের সম্ভাবনা আরও স্পষ্ট হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “মানুষ এই সংগ্রামী তরুণদের ঐক্যবদ্ধ দেখতে চায়। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে যদি এই প্রজন্ম ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে দেশের মানুষ একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে আস্থা রাখতে পারবে।”

তিনি আরও বলেন, এনসিপির অনেক নেতা একসময় গণঅধিকার পরিষদ ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মতে, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনই গণঅভ্যুত্থানের বীজ বপন করেছিল, আর গণঅধিকার পরিষদ সেই আন্দোলনের ফসল হিসেবেই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী এক বছরেও তাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই, এবং এ নিয়ে এনসিপিসহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আলোচনাও চলছে।”

অন্যদিকে, এনসিপির নেতা সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, নতুন রাজনৈতিক দলে নেতৃত্বের পদবণ্টন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, প্রতিটি দলই আহ্বায়ক বা সদস্য সচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিনিধিত্ব চাইছে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানান, শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরা একসঙ্গে কাজ করবেন এবং এ আলোচনা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *