ইসলামি বক্তা ও কুষ্টিয়া-৩ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মুফতি আমির হামজা (Maulana Mufti Amir Hamza) সাম্প্রতিক সময়ে তার কিছু বক্তব্য ঘিরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শুধু সমালোচনা নয়, ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। হামজার দাবি, তার বাবা-মাকেও গালাগালি করা হচ্ছে, যা তাকে ব্যথিত করছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে গালি দিক, কিন্তু মা-বাবাকেও গালি দিচ্ছে মানুষ। এতোদিন নানা জায়গায় কথা বলেছি, তেমন কিছু হয়নি। কিন্তু জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই আমাকে নিয়ে মজা করা শুরু হয়েছে।”
সাম্প্রতিক এক বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “এটা আসলে স্লিপ অব টাং। আমি ইচ্ছে করে বলিনি। অথচ সেই ভুল নিয়েই চলছে সমালোচনার ঝড়।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি জানান, “মুহসিন হলে আজান দেওয়া নিয়ে আমার বক্তব্যের সমালোচনা হচ্ছে। আসলে আমি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের নাম বলতে গিয়ে মুখ ফসকে মুহসিন হল বলেছি। ইচ্ছে করে বলিনি। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। মুহসিন হলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের জামানায় অনেক অন্যায়-অত্যাচার হয়েছিল—সে কথাই বোঝাতে চেয়েছিলাম।”
তিনি আরও যোগ করেন, “গত শনিবার আলোচনায় যে কথাটা বেরিয়ে গিয়েছিল, সেটা আমার মনের অজান্তেই হয়েছে। যারা কষ্ট পেয়েছেন, আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।”
বিতর্ক এড়াতে সংগঠনের পক্ষ থেকেও তাকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান হামজা। “কেন্দ্রীয় পর্যায়ের দুজন দায়িত্বশীল রবিবার আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, ভবিষ্যতে মাহফিলে যেন আমি কেবল কোরআনের আয়াত ও সূরার তাফসির নিয়েই আলোচনা করি। এরপর থেকে আমি শুধু তাফসির নিয়েই কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,” বলেন তিনি।
নিজেকে ছোট না ভেবে বারবার ভুল স্বীকারের কথাও বলেন আলোচিত এই বক্তা। তার ভাষায়, “ক্ষমা চাইলে মানুষ ছোট হয়ে যায় না। অতীতে আমার কিছু বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আমি সেগুলো স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছি, এবারও তাই করছি।”
এর আগে নায়িকাদের নিয়ে মন্তব্যসহ নানান ইস্যুতে দেওয়া বক্তব্যের কারণে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মুফতি আমির হামজা। তখনও একাধিকবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল তাকে।