মডেলিংয়ের পাশাপাশি আইনপেশাতেও নিয়মিত সক্রিয় পিয়া জান্নাতুল (Peya Jannatul)। একসময় তিনি সংসদ সদস্য থাকা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (Syed Sayedul Haque Suman)-এর চেম্বারে সহকারী আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। কয়েক বছর আগে সেই সময়কার একটি ভিডিও ক্লিপই বদলে দিয়েছিল পিয়ার পরিচিতি।
কালো কোট পরে ব্যারিস্টার সুমনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তোলা সেই ভিডিওতে দেখা যায়, হঠাৎ মুচকি হেসে ফেলেছিলেন পিয়া। মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। তখন অনেকের কাছেই নতুন মুখ ছিলেন তিনি, কিন্তু মাত্র কয়েক সেকেন্ডের সেই হাসিই তাকে রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তুলে দেয়। ক্লিপটি ঘিরে তৈরি হয় অসংখ্য রিলস, মিম আর বিভিন্ন ভিডিও কনটেন্ট।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এই আইনজীবী-মডেল। সেখানে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে আবারও উঠে আসে সেই ‘মুচকি হাসি’র প্রসঙ্গ। পিয়া জানান, নির্দোষভাবে দেওয়া সেই হাসির কারণ তিনি নিজেও জানতেন না। কিন্তু এর ফল ভোগ করতে হয়েছে তাকে—বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর থেকে।
তার ভাষায়, ‘তখন কোন ভুলে হাসছিলাম আমি জানি না, এবং সেটা ভাইরাল হওয়ার কারণে আমি নিজে যে পরিমাণ ভোগান্তির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর, সেটা বলার বাইরে।’
শোবিজ অঙ্গনে অনেক আইনজীবীর উপস্থিতি থাকলেও নিয়মিত আদালতে প্র্যাকটিস করেন এমন তারকা পাওয়া যায় খুব কম। সেদিক থেকে ব্যতিক্রমী অবস্থানে আছেন পিয়া জান্নাতুল। তবে একটি নিরীহ মুচকি হাসি একদিকে যেমন তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনে দেয়, অন্যদিকে সেটিই তার জন্য তৈরি করেছে অস্বস্তি আর বিব্রতকর অভিজ্ঞতা—এমনটাই জানালেন তিনি।