রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান (Dr. Zahed Ur Rahman) বলেছেন, সরকার চাইলে আওয়ামী লীগের ওপর চলমান নিষেধাজ্ঞা আগামীকালই তুলে দিতে পারে। তবে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয় যে আওয়ামী লীগ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত, তাহলে দলটি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, আদালত শেষ পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটিই কার্যকর হবে।
সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (আইসিটি আইন) সংশোধনের মাধ্যমে সংগঠন হিসেবে বিচারের আলাপ চলছে। আইন উপদেষ্টাও ইতিমধ্যে জানিয়েছেন যে প্রসিডিউর শুরু হচ্ছে। তবে আমার জানা মতে এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি, তদন্ত বা বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের কিছু কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই ‘সন্ত্রাস দমন আইন-২০০৯’-এর আওতায় নিষিদ্ধ রয়েছে। তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “সন্ত্রাস দমন আইন, ২০০৯’-এর মাধ্যমে আগে কেবল সংগঠন নিষিদ্ধ করা যেত। কিন্তু এখন একটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নতুন ধারা যোগ হয়েছে। এর ফলে সরকার চাইলে রাজনৈতিক সংগঠনের নির্দিষ্ট কর্মসূচিও নিষিদ্ধ করতে পারে। তাই আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড এখন কার্যত সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ।”
ডা. জাহেদ উর রহমান প্রশ্ন তোলেন, “যেহেতু আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ রয়েছে এবং দলের নিবন্ধনও স্থগিত আছে, সেক্ষেত্রে দলটি নির্বাচনে অংশ নেবে কীভাবে?”