শাপলা প্রতীক না দিলে ধান বাদ দিতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী (Nasiruddin Patwari) বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সামনে পথ দুটি—হয় শাপলা প্রতীক দিতে হবে, নয়তো ধান ও সোনালি আঁশ ছাড়তে হবে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তীব্র বার্তা দেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, শাপলা প্রতীক ছাড়া এনসিপি নিবন্ধন করবে না। তিনি বলেন, “শাপলা প্রতীক পেতে আইনি ও রাজনৈতিক কোনো বাধা দেখছি না। এর পরেও যদি শাপলা প্রতীক না দেওয়া হয়, আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। শাপলা ছাড়া এনসিপি নিবন্ধন নেবে না।” তাঁর ভাষ্যে, শাপলা প্রতীক না দেওয়ার পেছনে অদৃশ্য শক্তির হাত থাকতে পারে — কেন শাপলা দেওয়া হচ্ছে না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এখনও কোনো আইনি বা রাজনৈতিক ব্যাখ্যা দেয়নি।

বৈঠক শেষে নাসীরুদ্দীন আরও বলেন, শাপলা পাওয়ার জন্য গণতান্ত্রিক লড়াই চালিয়ে যাবেন; অধিকারের প্রশ্নে আপস করবেন না। “জল অনেক দূর গড়ানোর আশঙ্কা করছি। শাপলা ছাড়া নিবন্ধনে যাব না, নিবন্ধন ছাড়া কীভাবে একটি দল নির্বাচনে যাবে?”—তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

তিনি নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় নিশানা করেছেন এবং কমিশনের কিছু সিদ্ধান্ত ও নথি সংক্রান্ত উদ্বেগও জানিয়েছেন। নাসীরুদ্দীন বলেন, “আমাদের বিভিন্ন পত্রিকার প্রথম পেজের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে কমিশনের কিছু সিদ্ধান্ত। আমার দেশ পত্রিকায় একটি রিপোর্ট এসেছে যে নির্বাচন কমিশনের নথি তাদের হাতে রয়েছে। একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নথি—যা গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নথি—একটি পত্রিকার হাতে কীভাবে যেতে পারে?” তিনি এই বিষয়গুলোর জবাবদিহি চেয়েছেন এবং বলে দিয়েছেন, নির্বাচন যদি বাধাগ্রস্ত হয় তার কিছু দায় নির্বাচন কমিশনেরও থাকবে।

এই খবরটি সম্পর্কে আরও তথ্য প্রকাশ করেছে দৈনিক ইত্তেফাক — গুগল নিউজে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসরণ করা যেতে পারে, উল্লেখ্য এনসিপি ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে চলমান এই দ্বন্দ্বটি রাজনৈতিক করিডরে নতুন কার্যত্মক প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *