বিএনপি-জামায়াতসহ ২৫টি রাজনৈতিক দল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এসব দল আনুষ্ঠানিকভাবে সনদে স্বাক্ষর করলেও, এই পদক্ষেপে অংশ নেয়নি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) এবং বাংলাদেশ জাসদ।
সনদ স্বাক্ষরের এই ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এনসিপি নেতারা। ফেসবুকে পোস্ট ও মন্তব্যে তারা এই ২৫টি দলকে ‘জুলাইয়ের গাদ্দার’ হিসেবে অভিহিত করেন। বিশেষ করে জামায়াতের অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় ওঠে এনসিপি নেতাকর্মীদের ভেতর।
এরই মধ্যে শুক্রবার রাতেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানান আপ বাংলাদেশ দলের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি তীব্র ভাষায় বলেন, “বিএনপি, জামায়াতসহ ২৫টি রাজনৈতিক দল এবং আপ বাংলাদেশ জুলাইয়ের গাদ্দার। এই গাদ্দারিতে সমন্বয় করেছেন ড. ইউনূস ও তার অন্তর্বর্তী সরকার।”
রিফাত আরও দাবি করেন, “এনসিপি, সিপিবি, বাসদ ও জাসদই জুলাইয়ের একমাত্র শক্তি। এনসিপির ছাত্র উপদেষ্টারা কি এখন পদত্যাগ করছেন তাহলে?”
রিফাতের ওই মন্তব্যের জবাবে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ লিওন মন্তব্য করেন, “এনসিপির ছাত্র উপদেষ্টা মানে কি রিফাত? ছাত্র উপদেষ্টা তো গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের প্রতিনিধি। তোমরা তো পুরো প্রশাসন দখলে নিয়েছ।”
রিফাত ও এনসিপি নেতাদের এই পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের ফলে জুলাই সনদকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সনদ স্বাক্ষর না করা দলগুলো যেখানে নিজেদের অবস্থানকে ‘আদর্শিক দৃঢ়তা’ হিসেবে উপস্থাপন করছে, অন্যদিকে সনদ স্বাক্ষরকারীরা বলছেন, এটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।