ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন ছাত্রদলে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে হালুয়াঘাট পৌর শহরের জয়িতা মহিলা মার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে তারা ছাত্রদলে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানস্থলে নবযুগে পদার্পণ করা এই নেতা-কর্মীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ছাত্রদলের স্থানীয় নেতারা। উপস্থিত সবার মধ্যে ছিল উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশার মিশেল—একদিকে পুরনো আন্দোলনের অভিজ্ঞতা, অন্যদিকে নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের উদ্দীপনা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের নির্মম ও চরম দমন-পীড়নের মুখে যখন আন্দোলন প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল, তখন তারেক রহমান ও বিএনপি গণঅভ্যুত্থানের নিয়ামক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ দেয় বিএনপি, যেখানে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হালুয়াঘাট উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাঈমুর আরেফিন পাপন এবং সঞ্চালনা করেন পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূরে আলম জনি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ এবং উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম আর আল আমিন।
ছাত্রদলে সদ্য যোগদানকারী নেতাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন রতন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সোহাগ মিয়া, রাকিব খান ও হালুয়াঘাট উপজেলা এনসিপির সদস্য নাসির উদ্দিন বাপ্পী।
হালুয়াঘাটের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই যোগদানকে নতুন এক অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে—যেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রগতিশীল তরুণরা ছাত্রদলের পতাকাতলে এসে একত্রিত হচ্ছেন বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিসরে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশায়।