ঢাকার গুলশান (Gulshan)-এ অবস্থিত বাসভবনে বৃহস্পতিবার সকালে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন মার্কিন ডেপুটি রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিন (Megan Boldin)। সকাল ৮টা থেকে ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলে এই বৈঠক, যেখানে অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা—আদিলুর রহমান খান (Adilur Rahman Khan) এবং সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (Syeda Rizwana Hasan)। তারা উভয়েই বর্তমান সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং পশ্চিমা ঘরানার উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত।
বৈঠকে মূলত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, মানবাধিকার, পরিবেশ, সুশাসন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেলেও, আলোচনার নির্দিষ্ট এজেন্ডা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
বৈঠকে যুক্ত ছিলেন আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক—সুইডেনের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ইরিনা শুলগিন-নিয়নি (Irina Schoulgin Nyoni) এবং ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস (Nicolaas Weeks)। তাঁদের উপস্থিতি ইঙ্গিত করে, এই আলোচনার গুরুত্ব শুধু মার্কিন সম্পর্কেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তা ইউরোপীয় কূটনৈতিক অঙ্গনেরও বিশেষ মনোযোগ কেড়েছে।
বৈঠক শেষে কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে সূত্র জানায়, আলোচনার রেশ ধরে এরপরই পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা ব্রিটিশ হাই কমিশনে (British High Commission) আরেক দফা বৈঠকে মিলিত হন।
এই ধারাবাহিক বৈঠকগুলোর পেছনে অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক অবস্থান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটকে ঘিরে কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়ে যাওয়াকে বিশ্লেষকরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।


