আসন্ন নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ‘না’ ভোট দিয়ে গণভোট প্রত্যাখ্যান করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জয়নুল আবেদিন ফারুক (Zainul Abdin Farroque)। তিনি বলেন, “এবার ভোটারদের হাতে থাকবে দুটি ব্যালট—একটি প্রতীক ভিত্তিক (ধানের শীষ, দাঁড়িপাল্লা প্রভৃতি), অন্যটি গণভোটের, যেখানে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ থাকবে। আমাদের নেতারা বুঝিয়ে দেবেন কোনটি কী, আর সেখানে উত্তর হবে—‘না’।”
শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালী-২ আসনের সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ের মহিলা দলের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক।
চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে জয়নুল বলেন, “কেউ বলে ভোট করবে, কেউ বলে করবে না। কেউ আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী না পেলে নির্বাচন করবে না। এত দিন তো বলেছিল পিআর না হলে করবে না, গণভোট না হলে করবে না। এখন নতুন নাটক শুরু হয়েছে।”
নারী নেত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই লড়াইয়ে জয়ী হতেই হবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা জিতলে তারেক রহমান হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।”
নিজের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে ফারুক বলেন, “আমি পাঁচবার এমপি ছিলাম। কখনও দুর্নীতির আশ্রয় নিইনি। সামনে আমার শেষ নির্বাচন। আপনারা আমাকে অপছন্দ করতে পারেন, ভোট না-ও দিতে পারেন, কিন্তু ধানের শীষে অবশ্যই ভোট দেবেন। কারণ ধানের শীষই দেশের ভবিষ্যৎ।”
দলের কিছু মনোনয়নবঞ্চিত নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে কেউ মনোনয়ন পাননি—এটা সত্য নয়। প্রত্যেকেই প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু এখন আর মিছিল-মিটিং নয়, তারেক রহমানের নির্দেশই হবে আমাদের চলার দিশা। সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনবাগ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল্লা আল মামুন, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সুফিয়া আক্তার, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হান্নান লিটন ও সদস্যসচিব সহিদ উল্যাহ।
