বিএনপি (BNP) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া (Khaleda Zia) বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দলীয় নেতারা, চিকিৎসকরা এবং পরিবার।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল (Dr. Asif Nazrul) হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার খোঁজ নেন। সেখান থেকে ফিরে রাত ১টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এখনই ফিরলাম। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা একদমই ভালো না। সবাই দোয়া করবেন উনার জন্য।”
এদিন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান (Dr. Abdul Moyeen Khan) সাংবাদিকদের জানান, “আজ বোর্ড বসেছিল। তারা বেগম জিয়ার শরীরের সামগ্রিক অবস্থা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করেছে। সে অনুযায়ী চিকিৎসা চলছে। তার প্রতিটি শারীরিক প্যারামিটার নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে এবং চিকিৎসার দিকনির্দেশনাও সেভাবেই নির্ধারিত হচ্ছে।”
২৩ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। তিনি সেখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরাও নিবিড়ভাবে যুক্ত আছেন তাঁর চিকিৎসা প্রক্রিয়ায়।
তারেক রহমান (Tarique Rahman) ও তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান (Dr. Zubaida Rahman) লন্ডন থেকে চিকিৎসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এ ছাড়া প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও হাসপাতালে অবস্থান করছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে সবসময় খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে দীর্ঘ ১১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি ৬ মে দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। তবে সাম্প্রতিক এই শারীরিক অবনতিতে চিকিৎসকদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। দলের পক্ষ থেকেও তাঁর সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।


