বিএনপি (BNP) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে—আর সেটির ওপরই নির্ভর করছে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের (Tarique Rahman) দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে এ তথ্য জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir)।
তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি যদি স্থিতিশীল হয় এবং বিদেশে নেওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন। এখন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে তার সিদ্ধান্ত।”
এর আগে বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে মির্জা ফখরুল একই মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে দ্রুত রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন টানা ১০ দিন ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন। রবিবার রাতে হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহুদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতা ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন। বর্তমানে তিনি সিসিইউতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
দলীয় সূত্র বলছে, পরিবারের পাশাপাশি বিএনপির হাইকমান্ডও তার চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিচ্ছে। তারেক রহমান লন্ডন থেকে সরাসরি চিকিৎসা সমন্বয় করছেন এবং পরিস্থিতি বুঝে দেশে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।


