ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার (Anwarul Islam Sarkar)। তিনি জানান, আগামী বছরের ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো একদিন অনুষ্ঠিত হতে পারে ভোট। এছাড়া ভোটের তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে ৮ থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
এ নিয়ে আগামী ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে চূড়ান্তভাবে ভোটের দিন ও তফসিলের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
ইসি আনোয়ারুল বলেন, “ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ রোববার এবং ১২ তারিখ বৃহস্পতিবার। সে অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারির (মঙ্গলবার) দিকেই সংসদ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।” তবে ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন নির্বাচন হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একযোগে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বাড়তি চাপ পড়েছে নির্বাচন কমিশনের ওপর।
ভোটগ্রহণের সময় নিয়েও পরিবর্তনের ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এবার সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সকাল ৭টা ৩০ থেকে বিকেল ৪টা ৩০ পর্যন্ত করা হতে পারে। ভোটের গোপন কক্ষের সংখ্যাও বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “এক দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন সহজ নয়। এজন্য বাড়তি প্রস্তুতির প্রয়োজন হচ্ছে। অতিরিক্ত ব্যালট পেপার, অতিরিক্ত গোপন কক্ষ, কর্মী এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যবস্থাপনায় আমরা কাজ করছি।”
নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই:
– ভোটার তালিকা হালনাগাদ
– আইন ও বিধি সংশোধন
– রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন
– অধিকাংশ ছাপার কাজ সম্পন্ন করেছে
এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগপ্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও সম্পন্ন হয়েছে। এখন বাজেট সংক্রান্ত আলোচনা চলছে।
গণভোট যুক্ত হওয়ায় নির্বাচন আয়োজনের ব্যয় এবং প্রস্তুতির মাত্রা বেড়েছে বলে জানায় কমিশন। তবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে কমিশন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।


