বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া (Begum Khaleda Zia)–কে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল শুক্রবার যেকোনো সময় তাকে কাতার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাতারের আমিরের সহায়তায় কাতার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে কিছু কারিগরি জটিলতার কারণে বিমানটির ঢাকায় পৌঁছাতে সামান্য বিলম্ব হতে পারে।
এদিকে, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান (Tarique Rahman)-এর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ইতিমধ্যেই লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ঢাকায় পৌঁছেই তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন ফিরবেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসকসহ মোট ১৮ জন সফরসঙ্গী থাকছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান, বিএনপির (BNP) স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, ডা. ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দীন আহমদ, ডা. রিচার্ড বিলি, ডা. জিয়াউল হক, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
এছাড়াও সফরে থাকবেন হাসান শাহরিয়ার ইকবাল (এসএসএফ), সৈয়দ সামিন মাহফুজ (এসএসএফ), ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, ব্যক্তিগত সচিব মো. মাসুদার রহমান এবং দুইজন গৃহকর্মী—ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার।
উল্লেখযোগ্য যে, দীর্ঘদিন ধরেই খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের জটিলতায় ভুগছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের পতনের পর তিনি মুক্তি পান। এরপর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান এবং সেখানে ১১৭ দিন চিকিৎসা শেষে ৬ মে দেশে ফেরেন।
দেশে ফেরার পর থেকেই নিয়মিতভাবে এভারকেয়ার হাসপাতালে (Evercare Hospital) চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। সবশেষ ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা জানান, বর্তমানে তিনি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন এবং গত ১২ দিন ধরে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, তার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন ও দ্রুত উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।


