বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় খেঁজুরের কাঁচা রস পান করার পর অসুস্থ হয়ে মাহিন বাবু (৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃ’\ত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মা’\রা যায়। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে।
মাহিন বাবু বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা (Sherpur Upazila)–এর শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের বাগড়া চকপোতা দুবলাগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদ ফুয়াদ হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় তালিমুস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। অল্প বয়সেই এমন আকস্মিক মৃ’\ত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পরিবারের সদস্যদের ভাষ্যমতে, রোববার সকালে নিজ বাড়িতে খেঁজুরের কাঁচা রস পান করার কিছুক্ষণ পরই মাহিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর সে পরপর দুবার বমি করে এবং দ্রুত তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠলে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
নিহ’\তের দাদা এম রহমান মজনু জানান, প্রথমে মাহিনকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (Shaheed Ziaur Rahman Medical College Hospital)–এ রেফার্ড করেন। তবে সেখানেও শিশুটির শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
পরবর্তীতে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর (Enayetpur) এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ১০টার দিকে মাহিন বাবু মা’\রা যায়।
এ ঘটনায় শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম আলী (Ibrahim Ali) বলেন, বিষয়টি পুলিশের নজরে এসেছে। তিনি শীত মৌসুমে কাঁচা খেঁজুরের রস পান করার বিষয়ে সবাইকে নতুন করে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে বগুড়া (Bogura) স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শীতকালে খোলা অবস্থায় সংগ্রহ করা খেঁজুরের কাঁচা রস বিভিন্নভাবে দূষিত হতে পারে। এসব রস শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে শিশুদের কাঁচা খেঁজুরের রস পান করানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।


