“সবদিকেই সুযোগ আছে, কিন্তু এখনই কিছু চূড়ান্ত করছি না” – আসিফ মাহমুদ

গুঞ্জন ছিল—তিনি বিএনপি-তে যাচ্ছেন, কেউ বলছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যোগ দেবেন। কিন্তু সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামছেন সাবেক ছাত্রনেতা আসিফ মাহমুদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আসিফ মাহমুদ একান্ত আলাপচারিতায় বলেন, “শেষমেষ দেখা গেল আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছি। তবে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা অবশ্যই আছে। কারণ, একসাথে কাজ না করলে আল্টিমেটলি ভালো কিছু বের করে আনা সম্ভব না।”

তবে তিনি দল বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক। “বাংলাদেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে রাজনীতি করার জায়গাটা যেমন প্রসারিত হয়েছে, ঠিক একইভাবে ভাবাদর্শিক জায়গা থেকে সংকীর্ণতাও এসেছে। আগে রাজনীতিতে আসলে ভয় ছিল, এখন সে ভয় নেই। কিন্তু আদর্শিক অবস্থানে ভিন্নতা বেড়েছে,” বলেন আসিফ।

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, তত স্পষ্ট হচ্ছে—বিভিন্ন ছোট দল ভেঙে বড় দলগুলোতে লোক যোগ দিচ্ছে। এখন রাজনীতির ইকুয়েশনটা হয়ে গেছে ওয়ান-টু। থার্ড ফোর্স বলে কিছু থাকছে না। আরপিওসহ অনেক কাঠামোগত কারণ এর পেছনে আছে।”

আসিফ মনে করেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দলগুলোর আদর্শ, কর্মপন্থা, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে মূল্যায়নের ধরন ও তরুণদের ভূমিকা কতটুকু—এসব বিবেচনা করা জরুরি।

“আমি যদি খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিই, সেটা ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। কারণ, আমার ইচ্ছা আছে আগামী ৩০–৪০ বছর রাজনীতি করে দেশের মানুষের সেবা করার। তাই একটু দেরি করে হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই ভালো,” বলেন তিনি।

তবে তিনি জানান, বিভিন্ন দিক থেকেই তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। সাবেক সহযোদ্ধাদের দল এনসিপি, ছাত্র অধিকার পরিষদের পূর্ববর্তী নেতারা, এমনকি বিএনপিও তরুণদের চাইছে।

“সবদিকেই সুযোগ আছে। কিন্তু এখনই কিছু চূড়ান্ত করছি না,” বলেন আসিফ মাহমুদ।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনীতির ময়দানে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে চাইছেন তিনি, তবে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে কোথায় যুক্ত হবেন—তা সময়ই বলে দেবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *