১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিাউর রহমান (Ziaur Rahman)-এর কফিন বহন করেছিলেন যারা, তাঁদের দুজন—অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী হাসানুল হক ও মো. শহিদুল্লাহ এবার চান বেগম খালেদা জিয়া (Begum Khaleda Zia)-র কফিনও তাঁদের কাঁধে তোলার সুযোগ মিলুক।
তাঁরা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের রক্ষক খালেদা জিয়ার শেষ যাত্রায় অংশ নিতে পারলে সেটি হবে তাঁদের জীবনের সবচেয়ে বড় গর্ব ও সম্মানের মুহূর্ত।
কাজী হাসানুল হক বর্তমানে ঢাকার মিরপুর ১৫-তে বাস করেন, ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাজীর শিমলা গ্রামে তাঁর পৈতৃক বাড়ি। অন্যদিকে, মো. শহিদুল্লাহ থাকেন গুলিস্তানের রমনা ভবন এলাকায়, গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগে।
কাজী হাসানুল জানান, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গুলিতে নিহত হওয়ার পর তাঁকে ঢাকায় দাফন করা হয়।
তিনি বলেন, “আমি, শহিদুল্লাহ, হোসেন আলী ও শফিউল্লাহ—আমরা চারজন রাষ্ট্রপতির কফিন বহন করেছিলাম এবং রশি দিয়ে কবরে নামিয়েছিলাম। আমরা তখন অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট জিয়ার বাসায় ডিউটি করতাম এবং গার্ড অব অনার প্রদানকারী সেনা সদস্যদের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতাম। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই দায়িত্বেই ছিলাম।”
তিনি স্মৃতিচারণায় বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দাফনের সময় বেগম খালেদা জিয়া তাঁর দুই সন্তান—তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে নিয়ে কবরের উত্তর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।”
এই দুই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের ইচ্ছা, তারা যেন খালেদা জিয়ার কফিন কাঁধে করে কবরে নামাতে পারেন। “এই দায়িত্ব পেলে সেটিই হবে আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দের মুহূর্ত,” বলেন তাঁরা।
মো. শহিদুল্লাহ জানান, “আমরা চাকরিজীবনে দুজনই অ্যাথলেট ছিলাম। আমি ৪০০ মিটার দৌড় ও থ্রোতে স্বর্ণজয়ী, আর হাসানুল হক হাই জাম্পার। এখনো আমরা খেলাধুলা করি এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি। দায়িত্ব পেলে বেগম খালেদা জিয়ার কফিন বহন করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, এই দায়িত্ব তাঁরা শুধু আনুষ্ঠানিকতার জন্য নয়, একজন জাতীয় নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রতীক হিসেবে পালন করতে চান।


