২০২৫ সালের ডিসেম্বরকে সামনে রেখে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ প্রস্তুতির কাজও আরম্ভ করেছে তারা। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওই সময়ের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া শুরু করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া হালনাগাদ ও শক্তিশালী ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে মার্চের পরিবর্তে জানুয়ারিতে নাগরিকদের ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ অভিযান দ্রুত বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনাও চলছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সিইসির সভাপতিত্বে কমিশনের তাৎক্ষণিক বৈঠকে এসব সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
ইসি মনে করে, সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে সচিবালয় প্রয়োজনীয় সব উপকরণ নিশ্চিত করতে পারবে।
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে থাকা একটি পক্ষ ২০২৬ সালের ৩০ এপ্রিলের পরে নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর। মূলত ২০২৬ সালের মার্চে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি সহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচনের জন্য সমমনা দলগুলোর সঙ্গে দলটি সিরিজ বৈঠক শুরু করেছে। আবার বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও নির্বাচনের সময় নিয়ে প্রশ্ন শুরু করেছে। এমন বাস্তবতায় নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি থাকলেও ডিসেম্বরকে টার্গেট করে অগ্রসর হচ্ছে এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ বলেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরকে ধরেই আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রোডম্যাপ ঘোষণার কার্যক্রমও চলছে। আশা করি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনে কোনো সমস্যা হবে না।