আসন্ন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্যানেলের প্রধান সৈয়দ গোলাম সরোয়ার প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন যে, নির্বাচিত হলে তিনি হজযাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা আদায় করবেন এবং উক্ত অর্থ প্যানেলের সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) হাব নির্বাচনের নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, “যদি আমি নির্বাচিত হই, তাহলে হজযাত্রী প্রতি ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করব এবং তা আমরা ভাগ করে নেব।”
এ ধরনের অনৈতিক বক্তব্য প্রকাশের পর হাবের সদস্যদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
হাব সদস্যদের মতে, “আমরা আল্লাহর মেহমানদের সেবায় নিয়োজিত। এটি কেবলমাত্র একটি ব্যবসা নয়, বরং আমাদের জন্য এক পবিত্র দায়িত্ব। কিন্তু সৈয়দ গোলাম সরোয়ারের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গঠনের মাধ্যমে হজযাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হজ ব্যবস্থাপনাকে কলুষিত করার শামিল। সাধারণ হজ এজেন্সির মালিকরা এই ঘৃণ্য কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।”
হাবের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “হাব বরাবরই সিন্ডিকেট মুক্ত ছিল। সৈয়দ গোলাম সরোয়ারের এই ধরনের কর্মকাণ্ড অত্যন্ত নিন্দনীয়। হজযাত্রীদের সঙ্গে এমন অনৈতিক আচরণ আল্লাহর বিধানের পরিপন্থী।”
হাবের সাবেক সহ-সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, “আমরা সরোয়ারের এই অনৈতিক পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করছি এবং তা বাস্তবায়ন হতে দেব না।”
সিন্দবাদ ট্যুরসের স্বত্বাধিকারী আলহাজ জামাল হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা এতদিন সিন্ডিকেট মুক্ত ছিল। কিন্তু গোলাম সরোয়ারের ঘোষিত সিন্ডিকেট পরিকল্পনায় আমি হতবাক। তিনি অতীতেও বিভিন্ন ব্যবসায় সিন্ডিকেট করেছেন, যার মধ্যে সৌদি ভিজিট ভিসা ও মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেট উল্লেখযোগ্য।”
উল্লেখ্য, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।