রাজধানীতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-লুটপাট, যৌথ বাহিনীর হাতে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়ক সহ আটক ১৪

রাজধানীর কলাবাগান থানা (Kalabagan Police Station) এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ১৪ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে কলাবাগান থানার ওসি (Officer-in-Charge Moktaruzzaman) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

ওসি মোক্তারুজ্জামান জানান, আটক ব্যক্তিরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

কলাবাগান থানার তদন্ত কর্মকর্তা (Kalabagan Police Investigation Officer) জানান, আটক ব্যক্তিরা শেখ কবির নামে এক ব্যবসায়ীর অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। বর্তমানে তারা থানার হেফাজতে রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।

জাতীয় নাগরিক পার্টির দাবি

এর আগে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (National Citizens’ Party – NCP) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এখন আর আগের অবস্থানে নেই। এটি একটি ছাত্র সংগঠনে পরিণত হয়েছে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেন, কেউ যদি এই নাম ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাল্টা বক্তব্য

নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা (Umama Fatema)

এছাড়া, সংগঠনটির ফেসবুক পেজ থেকেও জানানো হয়েছে, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি গণ-অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম। এটি রাজনৈতিক বিভেদের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করবে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা সমুন্নত রাখবে।”

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, জুলাই ও আগস্ট মাসে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ এখানে সমবেত হয়েছিল। তারা গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবে।

পরবর্তী পদক্ষেপ

পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, এই ঘটনার ফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *