ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পরিবারের ছয় সদস্যের মধ্যে পূর্বাচলে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ও তার বোন শেখ রেহানার (Sheikh Rehana) বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় প্রথমবারের মতো চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক (ACC)).
চার্জশিটে কারা রয়েছেন?
সোমবার (১১ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, পৃথক আটটি চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পাশাপাশি চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন:
- শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় (Sajeeb Wazed Joy)
- কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল (Saima Wazed Putul)
- শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি (Radwan Mujib Siddiq Bobby)
- মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক (Tulip Rizwana Siddiq)
- মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক
সরকারি কর্মকর্তারাও অভিযুক্ত
এ মামলায় আরও অভিযুক্ত হয়েছেন তৎকালীন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকারসহ ১৪ জন সরকারি কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে রয়েছেন—
- অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন
- রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা
- সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম
- সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস
- গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ
- শেখ হাসিনার একান্ত সচিব সালাউদ্দিন
অভিযোগের সারসংক্ষেপ
চার্জশিট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শেখ হাসিনা বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর রোডে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার আটটি প্লট বরাদ্দ দেন।
এর আগে, ২৭ ডিসেম্বর দুদক শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত অনিয়মের তদন্ত শুরু করে।
অতিরিক্ত দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে
গত ২২ ডিসেম্বর দুদক শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পাশাপাশি, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তও চলছে।