সময় এসেছে আমাদের সংযম ও সহিষ্ণু আচরণ প্রদর্শনের

ফেসবুকে এক পোস্টে সংযম ও সহিষ্ণু আচরণ প্রদর্শনের আহ্বান জানালেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী।

আওয়ামীলীগ আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ এবং সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভের ঘোষণার প্রেক্ষিতেই এমন আহ্বান জানালেন মুশফিকুল ফজল আনসারী।

ফেসবুকের পোস্টে তিনি বলেন , “এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি শান্তি ও স্থিতি। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা কেবল হাজারো তাজা প্রাণ হারাইনি, বরং আমাদের মর্যাদা এবং সম্মানও হারিয়েছি। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ বিশ্বে একটি বর্বর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলো। তবে এখন আমরা সাহসী, বিজয়ী ও মর্যাদাবান জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছি। বর্বর গোষ্ঠীর কোনো ষড়যন্ত্র ও প্রোপাগান্ডাই আমাদের চলার পথে বিন্দুমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। “

সংযম ও সহিষ্ণু আচরণ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অনেকেরই সঙ্গত নানা কারণে দুঃখ-কষ্ট ও বেদনা রয়েছে – আমার ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু আমাদের কষ্ট কখনই অবুসাইদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম কিংবা ফাইয়াজের মায়ের তুলনায় বেশি নয়। এখন সময় এসেছে আমাদের সংযম ও সহিষ্ণু আচরণ প্রদর্শনের।

আওয়ামীলীগের বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন , জাতিসংঘ স্বীকৃত খুনের নির্দেশদাতা ও লুটেরা হাসিনা এবং তার সহযোগীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে। তবে তার পচাগলা রাজনীতির সাথে একসময় যুক্ত অনেক প্রান্তিক মানুষের সংশোধনের পথও উন্মুক্ত রাখতে হবে। অসহিষ্ণু ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা থেকে আমাদেরকে অবশ‍্যই বিরত থাকতে হবে, যা স্বার্থান্বেষী মহলের নজরকাড়া চিত্র তুলে ধরতে পারে।

দেশ বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন , গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পচাগলা অবস্থা থেকে দেশটাকে বাঁচাতে দেন-দরবার করার মতো একটি সরকার আপনারাই গঠন করেছিলেন। আমাদের প্রথা ও প্রতিষ্ঠানের যে টুকু অবশিষ্ট আছে, তা সমুন্নত রেখে নিজেদের গড়া সরকারের সাথেই হোকনা বোঝাপড়া।

পাওয়া-না পাওয়া কিংবা কোনো ব্যক্তি বিশেষের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। বর্তমান বিশ্বব‍্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে বৈষম্যহীন একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের পক্ষেই আমার অবস্থান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *