বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর (Bangladesh Jamaat-e-Islami) আমির ডা. শফিকুর রহমান (Dr. Shafiqur Rahman)। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের (Awami League) চ্যাপ্টার ৩৬ জুলাই ক্লোজড হয়ে গেছে। নতুন করে ওপেন করার কোনো অবকাশ নেই।”
ফেসবুকে শফিকুর রহমানের বার্তা
শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোর ৬টা ২১ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করছে। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ২৪-এর ৩৬ জুলাই মহান আল্লাহর কৃপায় আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ উপহার পেয়েছি।”
অস্থিতিশীলতার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
জামায়াত আমির অভিযোগ করেন, “দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশ ও বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। নির্যাতিত ১৮ কোটি জনগণের দাবি হলো গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন এবং আহত ও পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র-যুবকদের সুচিকিৎসা।”
তিনি আরও বলেন, “একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করা প্রয়োজন। জনগণ গণহত্যার বিচারটাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখতে চায়, এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি
বিএনপি (BNP) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)-এর উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব (Habibur Rahman Habib) বলেন, “আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী সংগঠন। নির্বাচন করতে হলে আওয়ামী লীগসহ তাদের মিত্র দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
এদিকে, ৩৬ জুলাই শহীদ মো. শাহাদাত হোসেন শাওন (Md. Shahadat Hossain Shawon)-এর বাবা বাছির আলম বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)সহ গণহত্যার দায়ীদের বিচার করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির অবস্থান
জাতীয় নাগরিক পার্টির (National Citizens’ Party) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam) বলেছেন, “আগে মৌলিক সংস্কার শেষ করে তারপর নির্বাচন হবে। এটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করা সম্ভব। জাতীয় নাগরিক পার্টি দৃশ্যমান বিচার ও মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন করে গণপরিষদ নির্বাচন চায়।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে এবং মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হতে হচ্ছে। তবে দলের কেউ অন্যায়ের সঙ্গে আপস করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।”