আওয়ামী লীগ (Awami League) সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) দলের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম দেখভালের জন্য চারজনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তবে তারা পরে দলের “চার খলিফা” হয়ে ওঠেন বলে মন্তব্য করেছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (Bangladesh Chhatra League) এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম (Siddique Nazmul Alam)।
নাজমুলের ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে নাজমুল এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চারজনকে দলের খোঁজখবর রাখার দায়িত্ব দিলেও পরে তারা নিজেদের জাতীয় চার নেতার সঙ্গে তুলনা করা শুরু করেন এবং বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন।
নাজমুল বলেন, “সেই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৩/এ তে বসে নেত্রীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা পার্টির মালিক সেজেছিল। অথচ তারা নিজেদের নির্বাচনি আসনও সামাল দিতে পারেনি। তখন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা রাস্তায় নিজেদের জীবন বাজি রেখে পার্টি অফিস আগলে রেখেছিল, না হলে তাদের অবস্থা খারাপ হতো।”
গোপন তথ্য ফাঁসের হুমকি
নাজমুল আরও লেখেন, “আমাদের সাবেক নেতাদের বলে গেল নেত্রীর কাছে যাচ্ছে, কিন্তু পালিয়ে গেল। একবারও আমাদের খবর নেয়নি বা বলেওনি যে তোমরা নিরাপদে চলে যাও। পরদিন তো সব শেষ।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “মুখ খুললে অনেকে লজ্জায় পড়বে। কার বউ-সন্তান কোথায় থাকে, কীভাবে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে—এসব তথ্য শুধু কর্মীরাই জানে না, কিন্তু অন্যরা জানে।”
এই পোস্টের মাধ্যমে নাজমুল আলম তার ক্ষোভ ও অভিমান প্রকাশ করেছেন, যা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।