জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন প্রখ্যাত নির্মাতা ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী (Mostofa Sarwar Farooki)। রাজধানীতে আয়োজিত আলোচিত ড্রোন শোতে শহীদ ওয়াসিম (Shahid Wasim)-এর ছবি অনুপস্থিত থাকায় ছাত্রদলের ব্যথিত হওয়াকে তিনি “শতভাগ যৌক্তিক” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
রবিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে ফারুকী লেখেন, “এই কয় সপ্তাহের ঝড়ে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফিরেই ছাত্রদলের ভাই-বোনদের বিবৃতিটা চোখে পড়লো। ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করলে হয়তো ভুল বোঝাবুঝি দূর করা যেত, কিন্তু পাবলিক রেকর্ডের জন্য এখানেই লিখছি।”
তিনি স্বীকার করেন, “আজকের ড্রোন শোতে শহীদ ওয়াসিমের ছবি না থাকায় তাদের ব্যথিত হওয়া শতভাগ যৌক্তিক। এই দুঃখ আমারও।”
তবে পরিস্থিতির সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করে তিনি লেখেন, “যাত্রাবাড়ীর কোনো মাদ্রাসা ছাত্রের ছবি না রাখতে পারার দুঃখও আছে। আরও অনেককে মিস করেছি। কিন্তু আইকনিক ইমেজ বাছাই, থিমেটিক স্টোরিটেলিং ঠিক রাখা, আর সীমিত সংখ্যক ইমেজের সুযোগ—এই তিন কারণে এমনটা হয়েছে।”
ফারুকী জোর দিয়ে বলেন, শহীদদের দলীয় পরিচয়ে নয়, তাঁদের আত্মত্যাগের ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করা উচিত। তিনি লেখেন, “জুলাইয়ের সব শহীদই সমান। শুধু জুলাই নয়, গত ষোলো বছরে গুম-খুনের শিকার সবাই ফ্যাসিবাদের পতনে ভূমিকা রেখেছেন। তারা প্রত্যেকেই আমাদের হিরো।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যদি আপনারা আমার জুলাই-আগস্ট কিংবা ২০১৪-১৫ সালের লেখালেখি পড়েন, তাহলে দেখবেন আমি কী বলতে চেয়েছি।”
শেষে তিনি ছাত্রদলসহ সবাইকে অনুরোধ করেন জুলাই যাদুঘর (July Museum)-এর দিকে চোখ রাখার। তাঁর কথায়, “সেখানে আমাদের কালের নির্যাতিত, শহীদ, গুম হয়ে যাওয়া সবাইকে পাবেন, সবার গল্প পাবেন। যারা প্রাণ দিয়েছে, তাদের স্মরণ করতেই হবে। কারণ বেদনা আমাদের মন আর ইতিহাস—দু’টোকেই পরিশুদ্ধ করে। বেদনা জারি থাকা ভালো।”
তিনি তাঁর স্ট্যাটাস শেষ করেন এই বলে: “সকল শহীদ ও গুম হওয়া মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা।”