সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর (Jamaat-e-Islami) শীর্ষ নেতাদের বিএনপি (BNP) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া (Begum Khaleda Zia) ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে সাক্ষাৎ। ইউরোপ সফর শেষে লন্ডন পৌঁছে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ আবু তাহের তারেক রহমানের বাসভবনে যান, যেখানে বর্তমানে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া।
এই সাক্ষাৎকার নিয়ে সরাসরি কোনো ঘোষণা বা বিবৃতি না এলেও, পুরো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বিএনপির ঘনিষ্ঠ সাবেক প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান (Maruf Kamal Khan)। তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে এ বৈঠকের কথা প্রকাশ করেন, যা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঢেউ তোলে।
তবে এই সাক্ষাত নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে—এটি কি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ, নাকি আগামী নির্বাচনের প্রাক্কালে দুই দলের মধ্যে জটিল কোনো সমঝোতার ইঙ্গিত? কিছু অপ্রকাশিত ও অসমর্থিত সূত্র দাবি করছে, জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ৩০টি আসন নিয়ে নির্বাচনী বোঝাপড়ার চেষ্টা করছে। অথচ রাজনৈতিক মঞ্চ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী বিএনপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই কঠোর সমালোচনায় মুখর।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দ্বিমুখী কৌশল হয়তো জামায়াতের কৌশলগত রাজনৈতিক চাল, যেখানে একদিকে দলটি নিজেকে বিএনপির বিকল্প শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়, আবার অন্যদিকে নির্বাচন ঘনিয়ে এলে নিজেদের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে বিএনপির সঙ্গেই আঁতাত গড়তে চায়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যে অবস্থানের সময়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান (General Waker-Uz-Zaman)ও তাঁর বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। তবে সে সাক্ষাত সম্পর্কেও তেমন কোনো বিশদ তথ্য জানা যায়নি।
রাজনৈতিক এই ঘটনাগুলোতে সামনের দিনগুলোতে কোন নতুন সমীকরণ সৃষ্টি হয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী।